মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ইটভাটার ধোঁয়ায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে আট লক্ষ টাকা বুধবার (২১মে) দুপুরের মধ্যে মালিকপক্ষকে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি বরং রাতের আঁধারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোরপূবর্ক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইটভাটার মালিকপক্ষের লোকদের বিরুদ্ধে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গত ২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে ফুকুরহাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামেন মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ড কে এক লক্ষ টাকা জরিমানাসহ বন্ধ করে দিয়েছেন ইটভাটার সকল কার্যক্রম ও বিচ্ছন্ন করা হয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা মঙ্গলবার সকালে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইউএনও অফিসের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা স্থান ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটী ইউনিয়নের হরগজ মৌজায় তিন ফসলী ভূমিতে দীর্ঘদিন যাবত মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ড নামের ইটখোলাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ইটখোলাটির ংিংনর্গত গরম গ্যাস ও কালো ধোয়ায় এক কিলোমিটারের মধ্যে কৃষকদের ধান ক্ষেত সহ কৃষিজাত পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই ইট খোলার নির্গত গরম বাতাস ও কালো ধোয়ায় ৭৫ কৃষকের প্রায় এক শত বিঘা ক্ষেতের ধান নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ শামীম বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ইউএনও অফিস ত্যাগ করবো না। আমাদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে তাল বাহানা করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মালিকপক্ষের লোকজন ভয় ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা আজ মঙ্গলবার ইউএনও অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ড কে এক লক্ষ টাকা জরিমানাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয় ও বিচ্ছন্ন করা হয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। অপরদিকে ভুক্তভোগী কৃষকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে আট লক্ষ টাকা ২১ মে বুধবার দুপুরের মধ্যে মালিকপক্ষকে পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আমার অফিসের সামনে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।